কিডনি পরিষ্কার করে যেসব খাবার 2023

কিডনি পরিষ্কার করে যেসব খাবার,কিডনি শরীরের এমন এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা মূত্রনালীর অংশ এবং রক্তের ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। কি কি প্রধান কাজ হল দেহ থেকে বর্জ্য বের করে এবং ক্ষতিকারক টক্সিন বা বিষ অপসারণের মাধ্যমে দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়া। এছাড়াও কিডনি ইলেকট্রোলাইটস এবং অন্যান্য তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে। এমনই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গকে সুস্থ রাখার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাসও জরুরি। এখানে খাদ্যের তালিকা দেওয়া হলো যেগুলো কিডনির সুরক্ষায় নিয়মিত খেতে হবে।

আরো পড়ুন : খাঁটি মধু চেনার উপায় এবং মধুর উপকারিতা

কিডনি আমাদের দেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কিডনি আমাদের শরীরের ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে। এটি আমাদের শরীরে জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করে এবং সেগুলো প্রস্রাবের সঙ্গে বের করে দেয়। এছাড়াও শরীরের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি হরমোন নিঃসরণ করে।

ক্যানবেরি জুস :

চেরির মতো ক্যানবেরিতেও রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ‘সি’ ও ম্যাগনেসিয়াম। এই দুটি উপাদান কিডনির ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত ক্যানবেরি জুস খেলে মূত্রথলির সংক্রমণ কমে যায়। সেই সঙ্গে এটি কিডনিও পরিষ্কার করে। এছাড়া কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকিও কমে যায়।

রসুন :

ইনফ্লেমেটরি এবং কোলেস্টেরল কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা দেহে প্রদাহ কমাতে কার্যকরী। এটি দেহ থেকে বাড়তি সোডিয়াম দূর করে। রসুনের মধ্যে রয়েছে এল আলাইসিন অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান। রান্না করে খেলে রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে না যার ফলে এর গুনাগুন পাওয়া যায় না তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে ভালো ফল পাওয়া যায় এটি কিডনির সুরক্ষায় কার্যকারী ভূমিকা রাখে।

আরো পড়ুন : তারাবি শব্দের অর্থ ? তারাবির নামাজ সর্বনিম্ন কত রাকাত পড়া যায় ?

হলুদ :

হলুদে রয়েছে কারক্লোমিন ও এন্টিইনফ্লামেটরি উপাদান যা কিডনি রোগ ও কিডনিতে পাথর জমা রোধ করে। নিয়মিত হলুদ খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। এটি একটি অত্যন্ত প্রদোহরোধী উপাদান। দীর্ঘদিন কিডনি রোগের ফলে যে প্রদাহ সৃষ্টি হয় তা প্রতিরোধে সহায়তা করে। হলুদ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে যা কিডনি রোগের দ্বিতীয় কারণ হিসেবে বিবেচিত। এটি লিভার ফাংশনও পরিষ্কার রাখতে পারে। কিডনি পরিষ্কার করতে হলদের চা খুব উপকারী।

সবুজ শাক :

সবজি নিয়মিত সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে। বেশিরভাগ শাক-সবজিতে ভিটামিন ‘সি’, ‘কে’, ফাইবার ও ফলিক এসিড থাকে। এগুলো রক্তচাপ কমায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এবং কিডনির জটিলতা কমায়।

আপেল :

প্রচলিত আছে ‘প্রতিদিন একটা আপেল খান আর ডাক্তারকে দূরে রাখুন।’ কথাটা কিডনির ক্ষেত্রেও সত্য। আপেল উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার, এতে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি আছে যা বাজে কোলেস্টেরল দূর করে হৃদরোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়া এটি ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। আপেল কাঁচা বা রান্না করে অথবা প্রতিদিন এক গ্লাস আপেলের জুস খাওয়ার চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুন : মস্তিষ্কের যত্ন নিন। স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির কার্যকরী উপায়

লেবুর শরবত :

প্রতিদিন লেবু মেশানো জল খেলেও কিডনি পরিষ্কার হয়। লেবুতে যে এসিড উপাদান আছে তা কিডনিতে জমা হওয়া পাথর ভাঙতে বেশ কার্যকর। লেবুতে যে সাইট্রাস উপাদান আছে তা কিডনিতে থাকা ক্রিস্টালদের পরস্পরের জোড়া লাগতে বাধা দেয়।

বিট রস :

কিডনি পরিষ্কার রাখতে জুড়ি নেই। বিক্রসেস এন্টি অক্সিডেন্ট যা মুক্ত‌ মৌলী দূর করে। এটি প্রস্রাবে এসিডিটির পরিমাণ বৃদ্ধি করে যা কিডনিতে পাথর গড়ে উঠতে দেয় ক্যালসিয়াম অপসারণ করতে সাহায্য করে। এসব থেকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সহায়তা করে যা কিডনি জনিত জটিলতা থেকে দেহকে রক্ষা করে। তাই কিডনি পরিষ্কার রাখতে বিকল্প নেই।

অলিভঅয়েল :

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের রান্নায় অন্যান্য তেলের চেয়ে অলিভঅয়েল ব্যবহার করা বেশি স্বাস্থ্যকর। এতে অলিক এসিড, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ফ্যাটি এসিড আছে, যা কিডনি সুস্থ রাখার পাশাপাশি ক্যানসার প্রতিরোধ করে থাকে।

আদা :

কিডনিতে রক্তের চলাচল বাড়িয়ে কিডনিকে সুস্থ রাখতে এবং সচল রাখতে সহায়তা করে। তাই কিডনির সুরক্ষায় নিয়মিত আদা খাওয়া উচিত। আদার গুড়া কাঁচা আদা বা আদার জুস নিয়মিত খেলে কিডনি কর্ম ক্ষমতা বেড়ে যায়। আদার মধ্যে জিনজেরোল নামক উপাদান রয়েছে যা শরীরের হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে এবং শরীরের প্রদাহ কমায়।

জনপ্রিয় পোস্ট : খেজুরের উপকারিতা। খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও সঠিক নিয়ম

ড্যান্ডেলিয়ন :

এটি হলো এক ধরনের বন্য হলুদ ফুলের গাছ। এর মূল এবং পাতা শুকিয়ে চা বানিয়ে খেতে হয়। এটি প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায় এবং দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়। এ ছাড়া পেটের স্ফীতি কমায়। এটি প্রাকৃতিকভাবে কিডনিকে পরিষ্কার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Referral site: celebritinetworth