মিলনের কত ঘন্টা পর ইমকন ট্যাবলেট খেলে গর্ভধারনের সম্ভাবনা থাকে না?

ইমকন ট্যাবলেট
Spread the love

4.9/5 - (14 votes)

মিলনের কত ঘন্টা পর ইমকন ট্যাবলেট খেলে গর্ভধারনের সম্ভাবনা থাকে না? অসতর্কতায় বা অনিরাপদ যৌন সংসর্গের পর গর্ভধারণের ঝুঁকি কমাতে অনেকেই ইমার্জেন্সি পিল গ্রহণ করে থাকেন। ইমকন 1 মহিলাদের জন্য জরুরি গর্ভনিরোধক বড়ি যা অরক্ষিত যৌন মিলনের ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রহণ করলে গর্ভধারন রোধ করা যায়। ইমকন 1 নিয়মিত জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়।

প্রতিটি ইমকন 1 বড়িতে সক্রিয় উপাদান হিসাবে রয়েছে লিভোনরজেস্ট্রেল ১.৫ মি. গ্রা.।প্রতিটি ইমকন 1 প্যাকেটে ১ টি গোল, সাদা বড়ি থাকে লিভোনরজেস্ট্রেল একটি প্রোজেস্ট্রেজেন গ্রুপের ঔষধ। মিলনের ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত এই ট্যাবলেটের কার্যকরীতা থাকে। আপনি যেহেতু ৫৫ ঘন্টা পর খেয়েছেন তাই ঝুকি নেই। অনেক সময় এসব ট্যাবলেট কাজ নাও করতে পারে। মিলনের ১২ ঘন্টার মধ্যে খেলে ঝুকি একবারেই থাকে না। এরপরও সন্দেহ থাকলে প্রেগনেন্সি কিট দিয়ে প্রসাব পরীক্ষা করে সিউর হয়ে নিতে পারেন।

ইমকন মহিলাদের জন্য জরুরি গর্ভনিরোধক বড়ি যা অরক্ষিত যৌন মিলনের ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রহণ করলে গর্ভধারন রোধ করা যায়। ইমকন নিয়মিত জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়প্রতিটি ইমকন বড়িতে সক্রিয় উপাদান হিসাবে রয়েছে লিভোনরজেস্ট্রেল ১.৫ মি. গ্রা.।প্রতিটি ইমকন প্যাকেটে ১ টি গোল, সাদা বড়ি থাকে।লিভোনরজেস্ট্রেল একটি প্রোজেস্ট্রেজেন গ্রুপের ঔষধ ৳65

 

জেনে নিন কিছু বিষয়

ইমার্জেন্সি পিলের আরেক নাম মর্নিং আফটার পিল। তার মানে, এটি পরদিন সকালবেলা খেতে হবে, তা নয়। অরক্ষিত মিলনের পর পর যত দ্রুত খাওয়া যায়, তত ভালো কাজ করে এটি। সাধারণত ৭২ ঘণ্টা থেকে ১২০ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো সময় খাওয়ার নিয়ম।

এই পিল গর্ভপাত করায় না, কেবল ডিম্ব স্ফুটনের বা ওভুলেশনের সময়কে পিছিয়ে দেয়। ফলে শুক্রাণু গর্ভসঞ্চার করার সুযোগ না পেয়ে জরায়ুতে তত দিনে নষ্ট হয়ে যায়। এভাবেই এটি গর্ভধারণের ঝুঁকি কমায়। তবে কখনো কখনো শুক্রাণু যদি দীর্ঘ মেয়াদে সক্ষম থাকে, তবে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পরও গর্ভসঞ্চার হতে পারে। প্রতি ১০০ জনে ২ জন নারী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইমার্জেন্সি পিল সেবন করার পরও অন্তঃসত্ত্বা হতে পারেন।

এটি কোনো দীর্ঘমেয়াদি বা স্বাভাবিক জন্মনিরোধক পদ্ধতি নয়। তাই বারবার পূর্ণ মাত্রায় সেবন করলে কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে গর্ভধারণের ঝুঁকি বাড়ে। তা ছাড়া মাসিক অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে। বমি, মাথাঘোরা ইত্যাদি সমস্যাও হতে পারে।

 

কখন ইমকন ব্যবহার করবেন?

অরক্ষিত সহবাসের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই জন্মনিরোধক ব্যবহার করতে হবে। তবে সহবাসের ৭২ ঘন্টার পরে নয় এবং নিন্ম লিখিত কারনে ইমার্জেন্সি জন্মনিরোধক ব্যবহার করা বাঞ্চনীয়

– সহবাসের সময় আপনি বা আপনার সঙ্গী যদি কোন জন্মনিরোধক পদ্ধিতি ব্যবহার না করে

– যদি আপনি পরপর ৩ দিন জন্মনিরোধক বড়ি খেতে ভুলে যান (এ ক্ষেত্রে আপনি জন্মনিরোধক বড়ি তথ্যসমৃদ্ধ লিফলেট পড়ুন)

– যদি সহবাসের সময় আপনার সঙ্গী কনডম সঠিক ভাবে ব্যবহার না করে থাকেন, অথবা কনডম ফেটে গিয়ে থাকে

– যদি আপনি মনে করেন যে, আপনার জরায়ুতে অবস্থিত জন্মনিরোধক (আই, ইউ, ডি) স্থান্যচুত হয়েছে

– যদি আপনের যোনিতে অবস্থিত ডায়াফ্রোম অথবা জন্ম নিরোধক ক্যাপ সরানো হয়ে থাকে

– যদি আপনি মনে করেন যে, অকার্যকর হয়েছে এবং অনুসরন করাকালীন সময়ে যদি সহবাস করে থাকেন এবং ধর্ষণ জনিত অবস্থায়

অতিরিক্ত ইমকন ট্যাবলেট বাচ্চা ধারণ ক্ষমতাকে নষ্ট করে,মাসিক হওয়া বিলম্বিত করে।এটা মাসে একবার খেলেও কিছুটা শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে (যেমন হঠাৎ করে মাসিক স্রাব শুরু হয়ে যাওয়া ) আর এটা যারা জন্মনিয়ন্ত্রণ করার জন্য খায় তারা অতিসত্বর গর্ভবতী হয়ে পড়ে অথবা বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতে ভুগতে শুরু করে। যেহেতু এটি একটি হরমোন নির্ভর ঔষধ ,উল্টাপাল্টাভাবে খেলে সমস্যা হতেই পারে। কারণ এক মাসে চার পাঁচবার হরমোন এর উঠানামা হবে ,সমস্যা হবেই , সেটা তাড়াতাড়িও হতে পারে আবার সুদূর প্রসারী ও হতে পারে। সন্তান না নিতে চাইলে সঠিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। নববিবাহিতদের জন্য সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে পিল অথবা কনডম ব্যবহার। এছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি তাদের উপযোগী নয়।

                                                                                                                                                                                                                             (স্বাস্থ্য ডেস্ক, তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট)


Spread the love